আমরা কি কখনো সকালে ঘাসের উপর বিন্দু বিন্দু পানি জমে থাকতে দেখেছি? এই পানির বিন্দুগুলো কোথা থেকে আসে ?
প্রশ্ন : পানির ফোঁটাগুলো কীভাবে তৈরি হয় ?
কাজ : গ্লাসের গায়ে পানির বিন্দু
কী করতে হবে :
১. দুইটি পরিষ্কার গ্লাস, পানি ও বরফ নিই ।
২. নিচের ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
৩. দুইটি গ্লাসেই কক্ষ তাপমাত্রার পানি ঢালি এবং একটিতে কয়েক খণ্ড বরফ নিই।
৪. কিছুক্ষণ পর গ্লাস দুইটির বাইরের পৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ করি এবং ছকে তার ছবি আঁকি ।
৫. কাজটি নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করি।
আমরা গ্লাস খ এর বাইরের পৃষ্ঠে পানির ফোঁটা দেখতে পেলাম। অপরদিকে, গ্লাস ক এর বাইরের পৃষ্ঠে কোনো পানির ফোঁটা দেখতে পেলাম না ।
ফলাফলের ভিত্তিতে নিচের বিষয়গুলো চিন্তা করি
১. দুইটি গ্লাসের মধ্যে পার্থক্য কী ?
২. পানির ফোঁটাগুলো কোথা থেকে এলো বা কেমন করে এলো?
রাতে ঘাস, গাছপালা ইত্যাদির উপর যে বিন্দু বিন্দু পানি জমে তাকে শিশির বলে। বায়ু যখন ঠান্ডা কোনো বস্তুর সংস্পর্শে আসে, তখন বায়ুতে থাকা জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে পানির ফোঁটা হিসেবে জমা হয়।
বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে পানিতে পরিণত হয়। বাষ্প থেকে তরলে পরিণত হওয়াকে ঘনীভবন বলে। পানিকে যখন তাপ দেওয়া হয়, তখন তা জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে বাষ্পীভবন।
তাপ প্রয়োগ ও ঠান্ডা করার মাধ্যমে পানি এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তিত হয়। বরফকে তাপ দিলে তা পানিতে পরিণত হয়। পানিকে তাপ দিলে তা জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। জলীয় বাষ্পকে ঠান্ডা করা হলে তা ঘনীভূত হয়ে পানিতে পরিণত হয়। যখন পানিকে শীতল করা হয়, তখন তা জমে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
আরও দেখুন...